কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রাজেশপুর ইকো পার্ক।
কুমিল্লার রাজেশপুর ফরেস্ট এখন পর্যটনের বাড়তি আকর্ষণ। শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের বাকি সময়টাতে ঘুরে দেখার মতো এখানে রয়েছে এক মন মুগ্ধকর পরিবেশ। কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালবাগ রাস্তার মোড় হতে ২ কিলোমিটার দূরে রাজেশপুর ইকো পার্ক।
বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সাঁরি আর সবুজ বৃক্ষের সমাবেশ দৃষ্টি কাড়ে সবার। রাজেশপুর ইকো পার্কে সামনে থেকে এক কিলোমিটার হাঁটলেই ভারতীয় সীমান্তের গা ঘেঁষে নোম্যান্স আইল্যান্ড। ওখানে রয়েছে তালতলা টিলা, পদ্ম পুকুর। সারাদিন কাটাতে পারবেন ওই বনে। তবে বিকাল ৫টার আগেই ফিরতে হবে। সামাজিক বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে এখানে তৈরি হয়েছে “ বনশ্রী” বিশ্রামাগার, পিকনিক শেড। অনুমতি নিয়ে থাকার ও পিকনিক করার সুযোগও রয়েছে। এখানে ছোট বড় মাঝারি ধরনের টিলা আর সবুজ শালবনসহ শতাধিক প্রজাতির গাছ-গাছালিতে সমৃদ্ধ রাজেশপুর ফরেস্ট। পর্যটকের জন্য ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে। ভাড়া করে সমগ্র ইকো পার্কটি দেখতে পারেন। রাজেশপুর ইকো পার্ক যে কেউ বেড়াতে আসতে পারেন। দিনভর উপভোগ করতে পারেন বনের নীরব পরিবেশ। দল বেঁধে বনভোজন কিংবা শিক্ষা সফরে যারা আসবেন তাদের জন্য রয়েছে পানি, টয়লেট সুবিধাসহ শাল, বৈলাম ও গর্জন নামের তিনটি পিকনিক শেড। প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য ১ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
এছাড়া একটি ভিআইপি বিশ্রাম , ড্রইং ওডাইনিংসহ অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত বনশ্রী বিশ্রামাগার ভাড়া নেয়া যায় দেড় হাজার টাকায়। তবে এগুলো ভাড়া নিতে হলে কুমিল্লা সদর দক্ষিক উপজেলার শাকতলা সামাজিক বন বিভাগের অফিসে এসে কিংবা ০৮১-৬৮৪৪৯ নম্বরে যোগাযোগ করে অগ্রীম বুকিং নিতে পারেন। এ শীত মৌসুমে দেখে আসুন রাজেশপুর ইকো পার্ক। তবে পর্যটকদের জন্য একটু সমস্যা রয়েছে ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ২ কিলোমিটার সড়কটি সরু। এতে পর্যটক ও পিকনিকে আসা লোকদের যানবাহন নিয়ে আসলে সরু সড়কে প্রায় সমস্যা দেখা দেয়। এ সড়কটি প্রস্তুত হলে পর্যটকদের ভিড় থাকবে রাজেশপুর ইকো পার্কে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS